আমরা যদি সন্তানের মধ্যে কোনো উত্তম গুন দেখতে চাই বা কোনো ক্ষতিকর জিনিস থেকে দূরে থাকতে চাই, চেষ্টা করতে হবে নিজেরা আগে সেটা মানতে, ঘরে এপ্লিকেশন করতে, নিজেরা সেগুলো প্র্যাকটিস করতে।এখানে কিছু প্যারেন্টিং টিপস (Parenting-tips) সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর সময় রাতের আমলঃ
যারা বাচ্চার মায়েরা আছেন, বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর সময় রাতের আমল – সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা মূলক পড়ে বাচ্চাকে শুনালে একসাথে অনেক গুলো অফার পেয়ে যেতে পারি ইন শা আল্লাহ – ফজিলতপূর্ণ এই সূরা গুলো পড়ার নিজের তো সাওয়াব হবে, পাশাপাশি বাচ্চা মাকে শুনে শুনে সেও অভ্যস্ত হয়ে যাবে যখন ২/৩+ বয়সেই বাচ্চা নিজেও হিফয করে ফেলবে কী দারুণ এক সুন্দর সফলতার ভাগিদার, সাদাকায়ে জারিয়াহর মাধ্যম হয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ চিন্তা করুন!
দুইটা সূরায় ১০-১৫ মিনিটে কী সুন্দর এক সাওয়াব অর্জনের সুযোগ পেয়ে যাচ্ছি আমরা। তাহলে কেন দেরি করবো! যারা শুরু করেন নি আজ থেকেই শুরু করুন ইন শা আল্লাহ। বাচ্চাকে নিয়ে কুরআনের সাথে এই সুন্দর সময় কাটান ❤️। প্যারেন্টিং টিপস (Parenting-tips)।
আপনার সন্তানদের মধ্যে ইসলামের চর্চাকে উৎসাহিত ও প্রচার করার সর্বোত্তম উপায় হল নিজে ইসলাম অনুশীলন করা-
বাচ্চাকে সারাক্ষণ যিকিরে, আল্লাহর স্মরণে অভ্যস্ত করতে হলে আগে আমাদের নিজেদেরকেও কাজ করতে করতে যিকির, কোনো কিছু শুরু বা শেষ করা বা দৈনন্দিন সুন্নাহ দু’আ গুলো জোরে জোরে পড়া উচিত (প্যারেন্টিং টিপস)। তাহলে আমাদের বাচ্চারাও শিখবে দেখে দেখে শুনে শুনে। তারাও তখন খেলার সময়, কাজ করার সময়, যেকোনো কাজ এর সুন্নাহ গুলো করবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। প্যারেন্টিং পুরোটাই প্রতিফলন – বাচ্চার উপর আমাদের প্রতিফলন তাই আমাদেরকে আগে কারেক্ট হতে হবে, সুন্নাহ মেনে চলতে হবে, আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন, আমিন।
আমরা যদি সন্তানের মধ্যে কোনো উত্তম গুন দেখতে চাই বা কোনো ক্ষতিকর জিনিস থেকে দূরে থাকতে চাই, চেষ্টা করতে হবে নিজেরা আগে সেটা মানতে, ঘরে এপ্লিকেশন করতে, নিজেরা সেগুলো প্র্যাকটিস করতে। যেমনঃ যখন আমি চাই আমার সন্তান কুর’আনের সাথে কানেক্টেড থাকুক, আমাদেরকেও কুর’আনের সাথে কানেক্টেড থাকতে হবে। যদি চাই রাগ করে যেন কথা না বলে, ভদ্র হয় তাহলে আমাদেরকেও মনে রাখতে হবে, আমরা যেন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখি, সন্তানের সামনে আর্গুমেন্ট না করি (প্যারেন্টিং টিপস)।
পজিটিভ প্যারেন্টিং (positive parenting) এর একটা বড় অংশ, মোটামুটি পুরো ব্যপারটাই – নিজেরা আগে কারেক্ট হবো, সঠিকটা প্র্যাকটিস করবো তারপর এটা সন্তানকে করাবো, তাকে হেল্প করবো, কমিউনিকেশন, আদর ভালোবাসা, হিকমার মাধ্যমে। প্যারেন্টিং টিপস (Parenting-tips)।
বাচ্চাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার উপায়ঃ
প্যারেন্টসরা, আপনাদের বাচ্চাদেরকে যখন তখনই একটু জড়িয়ে ধরুন, আদর করুন। হয়তো আপনার বাচ্চা খেলছে বা কিছু করছে তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিন, কপালে একটা চুমো দিন, জড়িয়ে ধরে একটু আদর করে দিন – এটা তাকে জন্য অনেক ভালো লাগার একটা অনুভূতি দিবে, খেলার মাঝখানে সে যে হঠাৎ এটেনশন পাওয়ার জন্য ছুড়াছুড়ি বা কাদে সেটা আর করবে না কারণ সে জানবে তার মা, বাবা তার কাছেই আছে।
এবং এই কাজটির সবচেয়ে সুন্দর প্রভাব যা দেখে আপনার অশ্রুসিক্ত হবে সেটা হচ্ছে – আপনাত বাচ্চাও ঠিক আপনার মতোন করেই আপনাদের কাজের মাঝখানে এসে আদর করবে – হয়তো আপনি রান্না করছেন বা ঘর গুছাচ্ছেন, তার বাবা হয়তো অফিসের কাজ করছে ল্যাপটপে তখন এসে হঠাৎ করেই এসে আদর করলো তখন কেমন লাগবে? অশ্রুসিক্ত চোখে রব্বের শোকরিয়ায় অন্তর পূর্ণ হয়ে যাবে না?
ভালোবাসা এভাবেই ছড়িয়ে পরে, আপনি যখন সন্তানকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসবেন আদর করবেন, তারাও এমন নরম অন্তরের অধিকারী হবে, ভালোবাসতে শিখবে 🤍।
সন্তানের সাথে কমিউনিকেশনের একটা সুন্দর পার্ট কাজ, খাওয়া বা অনান্য কাজের সময় সন্তানদেরকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া। হতে পারে খাওয়ার সময় প্লেট গুছানো, রান্নার সময়, ঘর গোছানোর সময়, ইত্যাদি টুকটাক সব কাজে বাচ্চাদেরকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া (প্যারেন্টিং টিপস), এভাবে তাদের সাথে কানেক্টেড থাকা। চলুন বাচ্চাদেরকে আমাদের সময়টুকু দিয়ে উত্তম চেষ্টা দিয়ে, তাদেরকে সাদাকায়ে জারিয়াহ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করি এবং ভীষণ আন্তরিক হয়ে দু’আ করি 🤍। প্যারেন্টিং টিপস (Parenting-tips)।
অন্য কারনে তৈরি হওয়া ডিপ্রেশন বা যেকোনো খারাপ অনুভূতি নিজের বাচ্চাদের উপর ঝারবেন না-
বাচ্চার উপর নিজের ডিপ্রেশন ঝেরে ফেলা সব যুগেই প্যারেন্টসদের, বিশেষ করে মায়েদের একটা কমন ভুল। কখনোই নিজের রাগ, কোনো অন্য কারনে তৈরি হওয়া ডিপ্রেশন বা যেকোনো খারাপ অনুভূতি নিজের বাচ্চাদের উপর ঝারবেন না। অনেকেই এই কাজটা খুব বেশি করেন এবং রাগ কমে গেলে নিজেই আবার মন খারাপ আর অপরাধবোধ নিয়ে বলেন – বাচ্চাই তো আপন, এই আপন মানুষটার উপর ই শুধু রাগ ঝারলাম। আর কারো উপরে তো অধিকার দেখাতে পারি না, নিজের রক্ত বলে বাচ্চাটাকেই কষ্ট দিয়ে ফেলি, খারাপ লাগে খুব!
চিন্তা করে দেখুন, নিজের আপন বাচ্চা যে অবুঝ বুঝতেও পারে না কেন মারছেন, তাকে আপনি কষ্ট দিচ্ছেন নিজের অধিকার আছে বলে! অথচ সে তো আপনার না, কেবলই আমানত, একটা মূল্যবান নিয়ামাহ – যাকে আপনার সর্বোচ্চ সুন্দর কেয়ার দেয়া উচিত, উত্তম তরবিয়ত দিয়ে নেক সন্তান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত। কিন্ত অধিকার এর নামে জুলুম করে ফেলছি এভাবে মেরে যেটা ওদের উপর প্রচন্ড মানসিক চাপ সৃষ্টি করে যা তাদেরকে ভীতু, অন্যদের প্রতি এগ্রেসিভ, অসামাজিক করে তোলে।
বড় হয়ে এই বাচ্চাটাই রাগি হলে, আপনার প্রতি অমনোযোগী হলে আপনি আবারো কমপ্লেইন করবেন বাচ্চাটা অবাধ্য, দুঃখ দেয় আপনাকে। বাচ্চাটাকে দোষ দেয়ার আগে একটু চিন্তা করে দেখুন দোষটা আসলে কার, ছোট বেলায় সে কোনো কারণ ছাড়াই কেন শারীরিক ও মানসিক কষ্ট পেতো! আপনার দ্বারা কি সে কখনো অকারনেই কষ্ট পায় নি? আপনি কি কখনো বাচ্চার উপর নিজের রাগ বা কষ্ট ঝারতে গিয়ে ওর উপর জুলুম করেন নি?
প্লিজ, মায়েরা এটা নিয়ে সতর্ক হোন, বাবারাও – কখনোই স্ত্রীর উপর জুলুম করবেন না, ঝগড়া করবেন না বাচ্চার সামনে- সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া অনেক মূল্যবান এক নিয়ামাহ, আমানত। এই আমানতকে মালিকানা ভেবে জুলুম করবেন না। (পেরেন্টিং টিপস)
আল্লাহকে ভালোবাসা শেখাতে হবেঃ
পুত্রকে গতকাল ভাত খাওয়ানোর সময় যখন সব সময়ের মতো আমাদের সাথে একসাথে না বসে, রুমে ছোটাছুটি করতে চাচ্ছিলো তখন কাছে টেনে কোলে নিয়ে আদর করে বললাম আচ্ছা শুনো একটা গল্প বলি – শুনে খুব খুশি হয়ে গেলো।
পুত্রঃ গল্প শুনবো বলো, কি গল্প, বলো মা, হেলিকপ্টার, গাড়ির গল্প শুনবো৷
তখন বললাম, একটা ছোট্ট ছেলে ছিলো সে অনেক ভালো হয়ে থাকতো, আল্লাহকে ভালোবাসতো, মা বাবার কথা শুনতো, বড়দের সাথে ভালো আচরণ করতো আর খেতে গেলে মা বাবার সাথে বসে সুন্দর করে খেতো। এরপর সে স্বপ্নে দেখলো আল্লাহ তাকে অনেক গুলা গিফটস দিয়েছেন জান্নাতে, জান্নাতে গিয়ে কি সুন্দর সুন্দর ফুল, পাখি, চকোলেট এর নদী আরো কত সুন্দর সব খেলনা। এরপর ছেলেটা ঘুম ভেঙে দেখে আল্লাহ তাকে দুনিয়াতেও অনেক সুন্দর হেলিকপ্টার, গাড়ি আর অনেক গুলা চকলেট দিয়েছে।
পুত্র আমার এত খুশি হয়ে গেল, আগ্রহ নিয়ে বললো আমি জান্নাতে যাবো আম্মু। আমাকেও আল্লাহ গিফট দিবে, না?
তারপর আবু মুস’আব বললেন – তুমি যদি ভালো ছেলে হয়ে থাকো – দুষ্টুমি না করো, কুর’আন শিখো, নামায পড়ো, বড়দের সাথে ভালো ব্যবহার করে, ভাত খাওয়াতে গেলে দুষ্টুমি না করো মাকে কষ্ট না দাও তাহলেও তোমাকেও আল্লাহ ভালোবাসবে, গিফটস দিবেন, জান্নাতেও যেতে পারবা ইন শা আল্লাহ। তুমি কি ভালো ছেলে হয়ে থাকবা, বাবা?
পুত্রঃ আচ্ছা বাবা, ভালো কথা বলব, দুষ্টুমি করবো না। পাশে দৌড়াদৌড়ি করা ক্যাস্পারের দিকে তাকিয়ে বলে, বাবা ক্যাসপারও ভালো হয়ে থাকবে তাই না? ও তো দুষ্টুমি করছে। ওকে বলো?
আমি বললাম তুমিই বলো। এরপর সে গার্ডিয়ান এর মত বলে, এই ক্যাসপার, দুষ্টুমি করে না, করলে আল্লাহ তোমাকে গিফট দিবে না, বুঝছো? 😐
আমরা দু’জন দেখে দেখে ভাবছি – ছেলে আমাদের চেয়ে ভালো কাউন্সেলিং পারে 😷
(মাশা আল্লাহ, বারাকাল্লাহু লাকা)
এরপর আর কি, মুগ্ধ পুত্র সুন্দর করে ভাত খেতে খেতে কত কত প্রশ্ন করলো, আল্লাহর কাছে আরও কি কি চায়… (বারাকাল্লাহ)
ইন শা আল্লাহ ওকে এক দুই দিন পর যখন কিছু কিনে এনে দিবো তখন ও বলবে আল্লাহ গিফট দিয়েছেন, ভালো হয়ে থাকার জন্য। এভাবে ছোটোবেলা থেকেই সন্তানকে আল্লাহর জন্য ই সব কিছু করা, আল্লাহকে ভালোবাসা শেখাতে হবে।
বাচ্চাদের মনটা এমনই পবিত্র, ওদেরকে ভালো কিছু দিয়ে, রব্বের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টির জন্য এভাবে বুঝালে তারা এই শিক্ষা পেয়েই বড় হবে যে – আমরা রব্বের জন্য, রব্বের জন্যই আমাদের সব কিছু, রব্বই কেবল প্রতিদান দেন।
Hi my loved one! I wish to say that this article is awesome, great written and include almost all vital infos. I would like to look more posts like this .
Thanks for the sensible critique. Me and my neighbor were just preparing to do a little research about this. We got a grab a book from our area library but I think I learned more clear from this post. I am very glad to see such magnificent info being shared freely out there.
I loved as much as you’ll receive carried out right here. The sketch is attractive, your authored subject matter stylish. nonetheless, you command get got an edginess over that you wish be delivering the following. unwell unquestionably come further formerly again since exactly the same nearly very often inside case you shield this increase.
I’ve been exploring for a bit for any high quality articles or weblog posts in this sort of space . Exploring in Yahoo I finally stumbled upon this website. Studying this information So i’m happy to show that I’ve a very excellent uncanny feeling I came upon just what I needed. I most no doubt will make sure to do not fail to remember this website and provides it a look on a continuing basis.
Simply wanna remark on few general things, The website pattern is perfect, the written content is real excellent : D.
I am curious to find out what blog system you are utilizing? I’m experiencing some small security problems with my latest website and I’d like to find something more secure. Do you have any recommendations?
Utterly composed written content, Really enjoyed looking at.
Somebody essentially assist to make severely posts I’d state. This is the very first time I frequented your website page and up to now? I surprised with the analysis you made to make this actual publish incredible. Excellent task!
I’ve recently started a blog, the information you offer on this website has helped me greatly. Thanks for all of your time & work.
Whats up very cool website!! Guy .. Excellent .. Superb .. I will bookmark your site and take the feeds also?KI am happy to search out so many helpful information here within the publish, we need develop more techniques in this regard, thanks for sharing. . . . . .
My brother recommended I might like this web site. He was totally right. This post actually made my day. You cann’t imagine simply how much time I had spent for this information! Thanks!
Hello my friend! I want to say that this article is amazing, nice written and come with almost all important infos. I’d like to see extra posts like this.
Neat blog! Is your theme custom made or did you download it from somewhere? A theme like yours with a few simple tweeks would really make my blog shine. Please let me know where you got your design. Cheers
What Is Puravive? The Puravive weight loss aid is formulated using eight clinically proven natural ingredients.
Simply want to say your article is as amazing. The clarity to your publish is simply spectacular and i could suppose you are an expert on this subject. Well along with your permission allow me to snatch your feed to keep updated with imminent post. Thanks 1,000,000 and please continue the enjoyable work.
You really make it appear so easy together with your presentation however I find this matter to be really something that I feel I might never understand. It kind of feels too complicated and extremely wide for me. I am looking ahead in your subsequent publish, I’ll attempt to get the hold of it!
good post